Tuesday, January 26, 2021

ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মীর নিসার আলী তিতুমীর।


সর্বপ্রথম ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে লড়াই করে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। ১৯ শে নভেম্বর,এই দিনে ব্রিটিশ বাহিনীর সাথে অসম যুদ্ধে তিনি শহীদ হয়েছিলেন।



স্মৃতির পাতা উলটে আরও একবার স্মরণ করে নিই এই বীর মুসলিম বাঙালী যোদ্ধাকে। ব্রিটিশ সরকারের পাশাপাশি তাঁর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল অত্যাচারী হিন্দু জমিদার ও ধনী মুসলমানও। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় তিতুমীর ও তার অনুসারীদের সাথে স্থানীয় জমিদার ও নীলকর সাহেবদের মধ্যে সংঘর্ষ হতে থাকে। ঐতিহাসিক সুপ্রকাশ রায়ের ভাষায় তিতুমীরের এই সংগ্রাম ছিল প্রকৃত কৃষক বিদ্রোহ যার অভিমুখ ছিল অত্যাচারী জমিদার ও নীলকর সাহেবরা।

তিতুমীর তার গ্রামের দরিদ্র কৃষকদের সাথে নিয়ে জমিদার এবং ব্রিটিশ নীলকদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। তিনি এবং তার অনুসারীরা তৎকালীন হিন্দু জমিদারদের অত্যাচারের প্রতিবাদে ধুতির বদলে ‘তাহ্‌বান্দ’ নামে এক ধরনের বস্ত্র পরিধান শুরু করেন। তিতুমীর হিন্দু জমিদার কৃষ্ণদেব রায় কর্তৃক মুসলমানদের উপর বৈষম্যমূলকভাবে আরোপিত ‘দাড়ির খাজনা’ এবং মসজিদের করের তীব্র বিরোধিতা করেন।

তারপর তার বিরোধিতা আছড়ে পড়ে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে। তারা সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হয়। ১৮৩১ সালের ২৩শে অক্টোবর বারাসতের কাছে বাদুড়িয়ার ১০ কিলোমিটার দূরে নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে তাঁরা ইতিহাসে বিখ্যাত “বাঁশের কেল্লা” তৈরি করেন। বাঁশ এবং কাদা দিয়ে তারা দ্বি-স্তর বিশিষ্ট এই কেল্লা নির্মাণ করেন। সেখানে তিনি দেশীয় প্রযুক্তিতে সেনা প্রশিক্ষণ দিতে থাকেন, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র জোগাড় করতে থাকেন।

১৪ নভেম্বর কর্নেল হার্ডিং-এর নেতৃত্বে ব্রিটিশ সৈন্যরা ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তিতুমীর ও তার অনুসারীদের আক্রমণ করে। তাদের সাধারণ তলোয়ার ও হালকা অস্ত্র নিয়ে তিতুমীর ও তার সৈন্যরা ব্রিটিশ সৈন্যদের আধুনিক অস্ত্রের সামনে টিকতে পারে নি। ১৯শে নভেম্বর তিতুমীর ও তাঁর চল্লিশজন সঙ্গী যুদ্ধরত অবস্থায় সেই বাঁশের কেল্লাতেই প্রাণ হারান।

তবে তাদের অদম্য সাহস ও মজবুত ইরাদা আজও স্মরণীয় হয়ে আছে।

Wednesday, January 20, 2021

বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোর নামকরণের অজানা কাহিনী!

বিশ্বখ্যাত অনেক ব্র্যান্ডকে চিনলেও আমরা সেগুলোর নামকরণের পেছনের কারণটি জানি না। সেটা আমাদের কোনো কাজে লাগবে না বলেই হয়তো আমরা জানার চেষ্টা করিনা। সেই কারণগুলো জানলে আমাদের জ্ঞান কতটুকু বাড়বে তা বলা না গেলেও নির্মল বিনোদন যে আমরা পেতে পারি সে কথা হলফ করেই বলা সম্ভব!



1. Canon
ক্যামেরা, ক্যামকর্ডার, ফটোকপি মেশিন ইত্যাদি নানা ধরনের ইমেজিং ও অপ্টিক্যাল প্রোডাক্ট তৈরির জন্য ক্যাননের সাথে আমাদের পরিচয় সেই ছোটবেলা থেকেই। ১৯৩৭ সালের আগস্ট মাসে যাত্রা শুরু করে জাপানের এ মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেশন।
মজার ব্যাপার হলো, শুরুতে কিন্তু ক্যানন যাত্রা শুরু করেছিলো ‘কোয়ানন (Kwanon)’ নামে। জাপানের উপকথা অনুযায়ী কোয়ানন হলো দয়ার দেবী। সেটা ১৯৩৪ সালের দিককার কথা। একসময় কোম্পানির কর্তাব্যক্তিরা মনে করলেন, বিশ্বের দরবারে নিজেদেরকে তুলে ধরতে হলে আরো স্টাইলিশ কোনো নামের দরকার। সেখান থেকেই আসে মূলত ‘ক্যানন’ নামটির ধারণা।
2. Sony
ক্যাননের মতো সনিও জাপানের আরেক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি। ইলেকট্রনিক্স, গেমিং, এন্টারটেইনমেন্ট, ফিনান্সিয়াল সার্ভিস- সবদিকেই ছড়িয়ে আছে তারা।
কোম্পানিটি তাদের নাম বেছে নিয়েছে ল্যাটিন শব্দ ‘সোনাস (শব্দ)’ এবং ইংরেজি ‘সনি বয় (স্মার্ট ও নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারা যুবক)’ থেকে।
3. Google
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেট যখন অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠতে যাচ্ছে, তখন এই ইন্টারনেটের রাজ্যে বিচরণের এক অদ্বিতীয় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে সার্চ ইঞ্জিন গুগল। মানুষ যে ঠিক কোন জিনিসটা গুগলে গিয়ে সার্চ করে না সেটা আসলেই বলা দায়।
গুগল তার নামটি নিয়েছে ম্যাথমেটিক্যাল টার্ম ‘Googol’ থেকে। Googol দিয়ে প্রকৃতপক্ষে ১ এর পর ১০০টি শূন্যকে বসালে আমরা যে সংখ্যা পাবো, সেটাকে বোঝায়। ১৯২০ সালে নয় বছর বয়সী মিল্টন সিরোটা সর্বপ্রথম এত বড় একটি সংখ্যাকে বোঝাতে এ শব্দটি ব্যবহার করেছিলো।
4. Yahoo
১৯৯৪ সালের জানুয়ারি মাসে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে জেরি ইয়াং ও ডেভিড ফাইলোর হাত ধরে যাত্রা শুরু করে একটি ওয়েবসাইট, যার নাম ‘Jerry and David’s Guide to the World Wide Web’। এটি ছিলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটের একটি ডিরেক্টরি যেখানে ওয়েবসাইটগুলো ক্রমাধিকারে (Hierarchy) সাজানো ছিলো। পরবর্তীতে একই বছরের এপ্রিলে তারা এর নাম পাল্টে রাখেন ‘Yahoo’, যা ছিলো ‘Yet Another Hierarchical Officious Oracle’ এর আদ্যক্ষরগুলো দিয়ে গঠিত শব্দ।
5. BlackBerry
কানাডিয়ান কোম্পানি ব্ল্যাকবেরি লিমিটেডের স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ব্ল্যাকবেরির নাম আমরা কম-বেশি অনেকেই শুনেছি। আজ থেকে ১৮ বছর আগে ১৯৯৯ সালে তাদের হ্যান্ডসেট প্রথম বাজারে আসে। এর নাম কেন কালোজামের মতো একটি ফলের নামে দেয়া হলো এর পেছনের ব্যাখ্যাটা অদ্ভুত। বলা হয়ে থাকে, ফোনগুলোর কী-প্যাড অনেকটা কালোজামের থোকা থোকা ফলের মতোই দেখাচ্ছিলো। এজন্যই অমন অদ্ভুত নাম বেছে নেয়া!
6. Amazon
আমেরিকান উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী জেফ বেজোসের হাত ধরে ১৯৯৪ সালের জুলাই মাস থেকে শুরু হয় ই-কমার্স ও ক্লাউড কম্পিউটিং কোম্পানি অ্যামাজনের যাত্রা। জেফ বেজোস তার কোম্পানির জন্য এমন একটি নাম খুঁজছিলেন যেন বর্ণানুক্রম অনুসরণ করে কোনো তালিকা বানালে সেটা সেই তালিকার সবার উপরে থাকে। ভাবতে ভাবতে তার মনে পড়লো বিশ্বের দীর্ঘতম নদী অ্যামাজনের কথা। সাথে সাথেই তিনি বুঝতে পারলেন এমন একটি নামই তিনি খুঁজছিলেন। কারণ তিনিও চাচ্ছিলেন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের বুকে সগৌরবে মাথা তুলে দাঁড়াক। আর এভাবেই নিজের নাম পেয়ে যায় আজকের বিশ্বখ্যাত কোম্পানি অ্যামাজন।
7. Nike
ফুটওয়্যার, অ্যাপারেল, খেলাধুলার সামগ্রী প্রস্তুতকারী আমেরিকান মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেশন নাইকির যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৪ সালের জানুয়ারি মাসে। ‘Just Do It’ ট্রেডমার্কে বিশ্বাসী এ কোম্পানি তাদের নামটি নিয়েছে গ্রীক দেবী নাইকির কাছ থেকে। প্রাচীনকালে গ্রীকরা তাকে বিজয়ের দেবী হিসেবেই জানতো।
8. Adidas
ইউরোপের সর্ববৃহৎ এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খেলাধুলার সামগ্রী নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি হলো জার্মান মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেশন অ্যাডিডাস। আজ থেকে ৬৮ বছর আগে ১৯৪৯ সালে অ্যাডিডাস নাম নিয়ে অ্যাডলফ ড্যাজলারের হাত ধরে শুরু হয় কোম্পানির যাত্রা।
নিজের নামের দুই অংশ Adolf ও Dassler-কে একত্রিত করে তিনি নাম ঠিক করেন ‘Addas’। কিন্তু এ নামে আগে থেকেই আরেকটি শিশুদের জুতা তৈরির প্রতিষ্ঠানের নাম নিবন্ধন করা ছিল। তাই শেষ পর্যন্ত তিনি ‘Adidas’ নামটিকে বেছে নেন।
9. Adobe
অ্যাডোবি ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, অ্যাক্রোব্যাট রিডার ইত্যাদি নানা রকম সফটওয়্যারের জন্য আমেরিকার এ মাল্টিন্যাশনাল কম্পিউটার সফটওয়্যার কোম্পানিটির নাম আমাদের মুখস্ত হয়ে গিয়েছে। এর একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা হলেন জন ওয়ারনক। তার বাড়ির পেছন দিয়ে বয়ে গেছে একটি ছোট নদী, নাম তার অ্যাডোবি। সেখান থেকেই নিজের কোম্পানির নাম বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
10. Vodafone
এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও ওশেনিয়া অঞ্চলে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে ব্রিটিশ মাল্টিন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি ভোডাফোন গ্রুপ। কাজের সাথে মিল রেখেই নিজেদের কোম্পানির নাম বেছে নিয়েছে তারা। কারণ VODAFONE = Voice + Data + telephone!
তথ্যসূত্র :- https://roar.media/bangla

Wednesday, July 3, 2019

Motivational

জীবনে চলার পথে কতজনের কাছে কতরকম উপদেশের দেখা মেলেবেশিরভাগই ভুলে যাই আমরাজীবনে প্রয়োগকরা হয়ে উঠে নাকিন্তু কিছু উপদেশবিশেষ কিছু কথা মনে গেঁথে যায় চিরদিনের জন্যঘুরিয়ে দেয় জীবনেরমোড়


দীর্ঘ সময় ধরে পৃথিবীর শীর্ষ ধনীর স্থান দখল করে রাখা বিল গেটস জীবনে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেছেন মায়েরদেওয়া তিনটি উপদেশ

১. প্রচুর বই পড়বি ক্লাসের পড়ার বাইরেও বিশাল একটি জগত রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে বেশি করে জানবিবেশিকরে পড়বি আর নতুন নতুন সব বিষয়ের বই পড়বিযেগুলো সচরাচর অন্যরা পড়ে না

২. তুই যেরকম চিন্তা করবিতোর জীবন সেভাবেই গড়ে উঠবেতাই সবসময় স্রোতের বাইরে চিন্তা করবি সবারমতো হুজুগের পেছনে ছুটবি না কখনো ছোট চিন্তা করবি না।অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখবিএতো বড় যেন নিজেরকাছেই অসম্ভব লাগেঅন্যদের কাছে সে স্বপ্নের কথা বলতে ভয় হয়!

৩. জীবনে এমন কাজ করবি যা অন্য কেউ করছে নাবেশিরভাগ মানুষ ঘুরেফিরে প্রতিষ্ঠিত কিছু পথেই ক্যারিয়ারগড়ে তোলেকেউ ঝুঁকি নিতে চায় না তুই সবার চেয়ে ভিন্ন পথে হাঁটবিভিন্ন কাজ করবি তুই নিজেই পথ তৈরিকরবিমানুষকে স্বপ্ন দেখাবি